সোলায়মানের শীর 3

1রাতের বেলায় আমার বিছানায়

আমার প্রাণের প্রিয়তমকে আমি খুঁজছিলাম;
আমি তাঁকে খুঁজছিলাম, কিন্তু পেলাম না।
2আমি ভাবলাম, আমি এখন উঠে শহরের মধ্যে ঘুরে বেড়াব,
ঘুরে বেড়াব রাস্তায় রাস্তায়, চকে চকে;
সেখানে আমি আমার প্রাণের প্রিয়তমকে খুঁজব;
আমি তাঁর খোঁজ করছিলাম কিন্তু তাঁকে পেলাম না।
3পাহারাদারেরা শহরে ঘুরে ঘুরে পাহারা দেবার সময়
আমাকে দেখতে পেল।
আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম,
“তোমরা কি আমার প্রাণের প্রিয়তমকে দেখেছ?”
4তাদের পার হয়ে এগিয়ে যেতেই
আমি আমার প্রাণের প্রিয়তমের দেখা পেলাম।
তাঁকে ধরে আমার মায়ের ঘরে না আনা পর্যন্ত
আমি তাঁকে ছাড়লাম না;
যিনি আমাকে গর্ভে ধরেছিলেন
আমি তাঁরই ঘরে তাঁকে আনলাম।
5হে জেরুজালেমের মেয়েরা,
আমি কৃষ্ণসার ও মাঠের হরিণীদের নামে অনুরোধ করে বলছি,
তোমরা ভালবাসাকে জাগায়ো না বা উত্তেজিত কোরো না
যতক্ষণ না তার উপযুক্ত সময় হয়।

জেরুজালেমের লোকদের কথা:

6মরুভূমি থেকে ধোঁয়ার থামের মত যে আসছে সে কে?
সেই ধোঁয়ার থামে রয়েছে বণিকের সব রকম মসলার,
গন্ধরসের ও খোশবু ধূপের সুগন্ধ।
7দেখ, ওটা সোলায়মানের পালকী!
ষাটজন বীর যোদ্ধা রয়েছেন সেই পালকীর চারপাশে;
তাঁরা ইসরাইলের সবচেয়ে শক্তিশালী বীর।
8তাঁদের সবার সংগে আছে তলোয়ার,
যুদ্ধে তাঁরা সবাই পাকা;
তলোয়ার কোমরে বেঁধে নিয়ে
তাঁরা প্রত্যেকে প্রস্তুত রয়েছেন রাতের বিপদের জন্য।
9বাদশাহ্‌সোলায়মান এই পালকী তৈরী করেছেন নিজের জন্য,
তৈরী করেছেন লেবাননের কাঠ দিয়ে।
10সেই পালকীর খুঁটি রূপা দিয়ে তৈরী,
তলাটা তৈরী সোনার,
আসনটা তার বেগুনে রংয়ের;
জেরুজালেমের মেয়েরা ভালবেসে
তার ভিতরের অংশে কারুকাজ করে দিয়েছে।
11হে সিয়োনের মেয়েরা, তোমরা বের হয়ে এস,
দেখ, বাদশাহ্‌সোলায়মান তাজ পরে আছেন;
তাঁর বিয়ের দিনে, তাঁর মনের আনন্দের দিনে,
তাঁর মা তাঁকে তাজ পরিয়ে দিয়েছেন।