নহিমিয়া 12

ইমাম ও লেবীয়রা

1যে সব ইমাম ও লেবীয়রা শল্টীয়েলের ছেলে সরুব্বাবিল ও ইউসার সংগে বন্দীদশা থেকে ফিরে এসেছিলেন তাঁরা হলেন:

ইমামদের মধ্যে সরায়, ইয়ারমিয়া, উযায়ের, 2অমরিয়, মল্লুক, হটুশ, 3শখনিয়, রহূম, মরেমোৎ, 4-6 ইদ্দো, গিন্নথোয়, অবিয়, মিয়ামীন, মোয়াদিয়, বিল্‌গা, শময়িয়, যোয়ারীব, যিদয়িয়, 7সল্লূ, আমোক, হিল্কিয় ও যিদয়িয়। ইউসার সময়ে এঁরা ছিলেন ইমামদের ও তাঁদের বংশের লোকদের মধ্যে প্রধান।

8লেবীয়দের মধ্যে ইউসা, বিনুয়ী, কদ্‌মীয়েল, শেরেবিয়, এহুদা, ও মত্তনিয়। শুকরিয়া কাওয়ালীর তদারকির ভার ছিল এই মত্তনিয় ও তাঁর বংশের লোকদের উপর। 9এবাদত-কাজের সময় তাদের মুখোমুখি দাঁড়াতেন তাদেরই বংশের বক্‌বুকিয় ও উন্নো।

10ইউসার ছেলের নাম যোয়াকীম, যোয়াকীমের ছেলের নাম ইলিয়াশীব, ইলিয়াশীবের ছেলের নাম যোয়াদা; 11যোয়াদার ছেলের নাম যোনাথন আর যোনাথনের ছেলের নাম যদ্দূয়।

12যোয়াকীমের সময়ে ইমাম-বংশগুলোর মধ্যে যাঁরা প্রধান ছিলেন তাঁরা হলেন সরায়ের বংশের মরায়, ইয়ারমিয়ার বংশের হনানিয়, 13উযায়েরের বংশের মশুল্লম, অমরিয়ের বংশের যিহোহানন, 14মল্লূকীর বংশের যোনাথন, শবনিয়ের বংশের ইউসুফ, 15হারীমের বংশের অদ্‌ন, মরায়োতের বংশের হিল্কয় 16ইদ্দোর বংশের জাকারিয়া, গিন্নথোনের বংশের মশুল্লম, 17অবিয়ের বংশের সিখ্রি, মিনিয়ামীনের বংশের একজন, মোয়দিয়ের বংশের পিল্টয়, 18বিল্‌গার বংশের সম্মুয়, শময়িয়ের বংশের যিহোনাথন, 19যোয়ারীবের বংশের মত্তনয়, যিদয়িয়ের বংশের উষি, 20সল্লয়ের বংশের কল্লয়, আমোকের বংশের আবের, 21হিল্কিয়ের বংশের হশবিয়, যিদয়িয়ের বংশের নথনেল।

22ইলিয়াশীব, যোয়াদা, যোহানন, ও যদ্দূয়ের জীবনকালে লেবীয়দের এবং ইমামদের বংশের প্রধানদের নাম তালিকায় লেখা হচ্ছিল, আর তা শেষ হয়েছিল পারস্যের বাদশাহ্‌দারিয়ুসের রাজত্বকালে। 23লেবির বংশের প্রধানদের নাম ইলিয়াশীবের ছেলে যোহাননের সময় পর্যন্ত খান্দাননামা নামে কিতাবের মধ্যে লেখা হয়েছিল। 24লেবীয়দের নেতা হশবিয়, শেরেবিয়, কদ্‌মীয়েলের ছেলে ইউসা ও তাঁদের বংশের লোকেরা আল্লাহ্‌র বান্দা দাউদের কথামতই অন্য দলের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দলের পর দল আল্লাহ্‌র প্রশংসা করতেন ও শুকরিয়া জানাতেন। 25মত্তনিয়, বক্‌বুকিয়, ওবদিয়, মশূল্লম, টল্‌মোন ও অক্কুব ছিল রক্ষী। এরা দরজার কাছের ভাণ্ডার-ঘরগুলো পাহারা দিত। 26ইউসার ছেলে, অর্থাৎ যোষাদকের নাতি যোয়াকীম ও শাসনকর্তা নহিমিয়া এবং ইমাম ও আলেম উযায়েরের সময়ে এরা পাহারা দিত।

জেরুজালেমের দেয়াল উৎসর্গের অনুষ্ঠান

27জেরুজালেমের দেয়াল আল্লাহ্‌র উদ্দেশে উৎসর্গের অনুষ্ঠানের সময়ে লেবীয়রা যেখানে বাস করত সেখান থেকে তাদের জেরুজালেমে আনা হল যাতে তারা করতাল, বীণা, ও সুরবাহার বাজিয়ে ও শুকরিয়া-কাওয়ালী গেয়ে আনন্দের সংগে সেই অনুষ্ঠান পালন করতে পারে। 28-29 জেরুজালেমের আশেপাশের জায়গা থেকে নটোফাতীয়দের গ্রামগুলো থেকে, বৈৎ-গিল্‌গল থেকে এবং গেবা ও অস্মাবৎ এলাকা থেকে কাওয়ালদেরও এনে জমায়েত করা হল। এই লেবীয় কাওয়ালেরা জেরুজালেমের চারপাশের এই সব জায়গায় নিজেদের জন্য গ্রাম স্থাপন করেছিল। 30ইমাম ও লেবীয়রা নিজেদের পাক-সাফ করলেন এবং লোকদেরও পাক-সাফ করলেন; পরে দরজাগুলো ও দেয়াল পাক-সাফ করলেন।

31তারপর আমি এহুদার নেতাদের সেই দেয়ালের উপরে নিয়ে গেলাম এবং শুকরিয়া জানাবার জন্য দু’টা বড় কাওয়ালীর দল নিযুক্ত করলাম। একটা দল দেয়ালের উপর দিয়ে ডান দিকে সার-দরজার দিকে গেল। 32তাদের পিছনে গেল হোশয়িয় ও এহুদার নেতাদের অর্ধেক লোক। 33তাঁদের সংগে গেলেন অসরিয়, উযায়ের, মশুল্লম, 34-36 এহুদা, বিন্‌ইয়ামীন, শময়িয় ও ইয়ারমিয়া। এছাড়া শিংগা হাতে কয়েকজন ইমামও গেলেন। এঁরা হলেন জাকারিয়া এবং তাঁর সহকর্মী শময়িয়, অসরেল, মিললয়, গিললয়, মায়য়, নথনেল, এহুদা ও হনানি। জাকারিয়ার পূর্বপুরুষেরা ছিলেন যোনাথন, শময়িয়, মত্তনিয়, মিকায়, সক্কুর ও আসফ। এঁরা আল্লাহ্‌র বান্দা দাউদের কথামত নানারকম বাজনা নিয়ে চললেন। আলেম উযায়ের এই দলের আগে আগে চললেন। 37ঝর্ণা-দরজার কাছে যেখানে দেয়াল উপরের দিকে উঠে গেছে সেখানে তাঁরা সোজা দাউদ-শহরে উঠবার সিঁড়ি দিয়ে উঠে দাউদের বাড়ীর পাশ দিয়ে পূর্ব দিকে পানি-দরজায় গেলেন।

38দ্বিতীয় কাওয়ালীর দলটা উল্টা দিকে এগিয়ে গেল। আমি বাকী অর্ধেক লোক নিয়ে দেয়ালের উপর দিয়ে তাদের পিছনে পিছনে গেলাম। তারা তন্দুর-কেল্লা পার হয়ে চওড়া দেয়াল পর্যন্ত গেল। 39তারপর আফরাহীম-দরজা, যিশানা-দরজা, মাছ-দরজা, হননেলের কেল্লা ও হম্মেয়ার কেল্লার পাশ দিয়ে মেষ-দরজা পর্যন্ত গেল। তারপর পাহারাদার-দরজার কাছে গিয়ে তারা থামল।

40যে দু’টি কাওয়ালীর দল শুকরিয়া জানিয়েছিল তারা তারপর আল্লাহ্‌র ঘরের মধ্যে তাদের জায়গায় গিয়ে দাঁড়াল। আমিও তা-ই করলাম আর আমার সংগে রইলেন উঁচু পদের কর্মচারীদের মধ্য থেকে অর্ধেক লোক। 41ইলীয়াকীম, মাসেয়, মিনিয়ামীন, মিকায়, ইলিয়ৈনয়, জাকারিয়া ও হনানিয় নামে ইমামেরা তাঁদের শিংগা নিয়ে আমার সংগে রইলেন। 42এছাড়া রইলেন মাসেয়, শময়িয়, ইলিয়াসর, উষি, যিহোহানন, মল্কিয়, ইলাম ও এষর। কাওয়ালীর দলের লোকেরা যিষ্রহিয়ের নির্দেশ মত কাওয়ালী গাইল।

43আল্লাহ্‌তাদের প্রচুর আনন্দ দান করেছেন বলে সেই দিন লোকেরা বড় একটা কোরবানী দিল ও খুব আনন্দ করল। তাদের স্ত্রীলোকেরা ও ছেলেমেয়েরাও আনন্দ করল। জেরুজালেমের লোকদের এই আনন্দের আওয়াজ অনেক দূর পর্যন্ত শোনা গেল।

বায়তুল-মোকাদ্দসে দান আনা

44ভাণ্ডার-ঘরে যে সব দান, প্রথমে তোলা ফসল ও দশমাংশ আনা হত তার তদারকির জন্য সেই সময় লোকদের নিযুক্ত করা হল। তারা গ্রামগুলোর আশেপাশের ক্ষেত থেকে শরীয়ত অনুসারে ইমাম ও লেবীয়দের জন্য লোকদের কাছ থেকে ফসলের অংশ নিয়ে আসত। এহুদার লোকেরা খুশী মনে দিত, কারণ খেদমতকারী ইমাম ও লেবীয়দের কাজে তারা সন্তুষ্ট ছিল। 45দাউদ ও তাঁর ছেলে সোলায়মানের হুকুম অনুসারে ইমাম ও লেবীয়রা তাঁদের আল্লাহ্‌র এবাদত-কাজ ও পাক-সাফ করবার কাজ করতেন আর কাওয়াল ও রক্ষীরাও তাদের নির্দিষ্ট কাজ করত। 46অনেক কাল আগে দাউদ ও আসফের সময়ে আল্লাহ্‌র উদ্দেশে প্র্রশংসা ও শুকরিয়ার কাওয়ালী গাইবার জন্য কাওয়ালদের ও পরিচালকদের নিযুক্ত করা হয়েছিল। 47সরুব্বাবিল ও নহিমিয়ার সময়েও বনি-ইসরাইলরা সকলেই কাওয়াল ও রক্ষীদের প্রতিদিনের পাওনা অংশ দিত। এছাড়া তারা অন্যান্য লেবীয়দের পাওনা অংশও আলাদা করে রাখত আর লেবীয়রা আলাদা করে রাখত হারুনের বংশধরদের পাওনা অংশ।