আইয়ুব 11

সোফরের প্রথম কথা

1তখন নামাথীয় সোফর জবাবে বললেন,

2“এই সব কথার কি জবাব দেওয়া হবে না?
বাচালের কথা কি ঠিক বলে প্রমাণিত হবে?
3তোমার এই বাজে কথা শুনে কি লোকে চুপ করে থাকবে?
তুমি ঠাট্টা-বিদ্রূপ করলে কি কেউ তোমাকে লজ্জা দেবে না?
4তুমি আল্লাহ্‌কে বলছ, তোমার ঈমানে কোন খুঁত নেই
এবং তাঁর চোখে তুমি খাঁটি।
5আহা, আল্লাহ্‌যেন কথা বলেন,
তোমার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন
6আর জ্ঞানের গোপন বিষয়গুলো তোমাকে জানান,
কারণ জ্ঞানের অনেক দিক আছে।
এটা জেনে রেখো, তোমার গুনাহ্‌অনুসারে
আল্লাহ্‌তোমাকে শাস্তি দেন না।
7আল্লাহ্‌র গোপন বিষয়ের গভীরতা কতখানি
তা কি তুমি বুঝতে পার?
সর্বশক্তিমানের সীমা কতখানি
তা কি তুমি তদন্ত করে দেখতে পার?
8সেগুলো যে আসমানের চেয়েও উঁচু তা কি তুমি বুঝতে পার?
সেগুলো কবরের গভীরতার চেয়েও গভীর,
তুমি কি তা জানতে পার?
9মাপলে দেখা যাবে তা দুনিয়ার এক দিক থেকে
অন্য দিকের চেয়েও লম্বা
আর সাগরের চেয়েও চওড়া।
10তিনি এসে যদি তোমাকে জেলে বন্দী করেন
আর বিচার-সভা বসান,
তবে কে তাঁকে বাধা দিতে পারে?
11তিনি ভণ্ড লোকদের নিশ্চয়ই চেনেন;
খারাপ কিছু দেখলে তিনি কি তা লক্ষ্য করবেন না?
12বুনো গাধার বাচ্চা যেমন মানুষ হয়ে জন্মাতে পারে না,
তেমনি বুদ্ধিহীন মানুষ জ্ঞানী হতে পারে না।
13“কিন্তু যদি তুমি তোমার দিলটা সম্পূর্ণভাবে তাঁকে দিয়ে দাও,
তাঁর দিকে তোমার হাত বাড়িয়ে দাও,
14তোমার হাতে যে গুনাহ্‌আছে তা দূর করে দাও,
আর অন্যায়কে তোমার বাড়ীতে থাকতে না দাও,
15তাহলে তুমি নিষ্কলংক হয়ে মাথা তুলবে
আর ভয় না করে শক্ত হয়ে দাঁড়াবে।
16তখন তোমার কষ্ট নিশ্চয়ই তুমি ভুলে যাবে,
মনে হবে ওটা যেন কেবল বয়ে যাওয়া পানি।
17তোমার জীবন হবে দুপুরের চেয়েও উজ্জ্বল
আর অন্ধকার হবে সকালবেলার মত।
18তোমার সাহস থাকবে, কারণ আশা আছে;
চারদিকে তাকিয়ে তুমি নিরাপদে বিশ্রাম করবে;
19তুমি শুয়ে পড়লে কেউ তোমাকে ভয় দেখাবে না।
অনেক লোক তোমার কাছে দয়া চাইবে।
20দুষ্টেরা কিন্তু উদ্ধারের আশায় মিথ্যাই তাকাবে,
তারা কোন আশ্রয় পাবে না;
শেষ নিঃশ্বাসই হবে তাদের আশা।”