হিজরত 40

আবাস-তাম্বু দাঁড় করানো

1এর পর মাবুদ মূসাকে বললেন, 2“বছরের প্রথম মাসের প্রথম দিনে তুমি আবাস-তাম্বুটা, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুটা দাঁড় করাবে। 3তার মধ্যে সাক্ষ্য-সিন্দুকটা রেখে তার পর্দা দিয়ে সেটা আড়াল করে দেবে। 4টেবিলটাও ভিতরে এনে তার উপর যা রাখবার তা সাজিয়ে রাখবে। পরে বাতিদানটা এনে বাতিগুলো জ্বালিয়ে দেবে। 5সাক্ষ্য-সিন্দুকের সামনে সোনার ধূপগাহ্‌টা রাখবে এবং আবাস-তাম্বুর দরজায় পর্দা টাংগাবে। 6আবাস-তাম্বুর, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুর দরজার সামনে পোড়ানো-কোরবানগাহ্‌টা রাখবে। 7এই কোরবানগাহ্‌এবং মিলন-তাম্বুর মাঝামাঝি জায়গায় গামলাটা রেখে তাতে পানি রাখবে। 8তারপর উঠানের চারপাশ ঘিরে পর্দা টাংগাবে এবং তার দরজায়ও পর্দা দেবে।

9“পরে অভিষেক-তেল নেবে এবং আবাস-তাম্বু ও তার মধ্যেকার সব কিছুর উপরে সেই তেল দিয়ে তা পবিত্র করে নেবে। তাতে সেগুলো পবিত্র জিনিস হবে। 10সব বাসন-কোসন সুদ্ধ পোড়ানো-কোরবানগাহ্‌টার উপরও অভিষেক-তেল দিয়ে কোরবানগাহ্‌টা পাক-পবিত্র করে নেবে। তাতে সেটা মহাপবিত্র জিনিস হবে। 11আসনসুদ্ধ গামলাটার উপর অভিষেক-তেল দিয়ে তা পাক-পবিত্র করবে।

12“তারপর হারুন ও তাঁর ছেলেদের মিলন-তাম্বুর দরজার সামনে এনে পানি দিয়ে তাদের শরীর ধোয়াবে। 13পরে হারুনকে পবিত্র পোশাকগুলো পরিয়ে অভিষেক করে পাক-পবিত্র করবে যাতে সে আমার ইমাম হতে পারে। 14হারুনের ছেলেদের কাছে এনে তাদের ইমামের কোর্তা পরিয়ে দেবে। 15তারপর তাদের পিতার মত করে তাদেরও অভিষেক করবে যাতে তারা আমার ইমাম হতে পারে। এই অভিষেক দ্বারা যে ইমাম-পদের সৃষ্টি হবে তা বংশের পর বংশ ধরে চলতে থাকবে।” 16মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন মূসা সেইমতই সব কিছু করলেন।

17দ্বিতীয় বছরের প্রথম মাসের প্রথম দিনে আবাস-তাম্বুটা দাঁড় করানো হল। 18সেটা দাঁড় করাতে গিয়ে মূসা পা-দানিগুলো বসিয়ে ফ্রেমগুলো খাড়া করলেন। তিনি হুড়কাগুলো লাগালেন এবং খুঁটিগুলো বসালেন। 19তারপর মাবুদের হুকুম মত তিনি আবাস-তাম্বুর উপরে ছাগলের লোম দিয়ে বুনানো টুকরাটি বিছিয়ে দিলেন এবং তার উপর দিলেন ছাউনি দু’টা।

20তারপর মূসা সাক্ষ্য-ফলক দু’টা নিয়ে সিন্দুকের ভিতরে রাখলেন এবং সিন্দুকটার গায়ে ডাণ্ডা লাগালেন আর তার উপরে রাখলেন তার ঢাকনাখানা। 21তারপর মাবুদের হুকুম মত তিনি সিন্দুকটা আবাস-তাম্বুর ভিতরে নিয়ে গেলেন এবং তার পর্দাটা ঝুলিয়ে সেটা আড়াল করে রাখলেন।

22-23 সেই পর্দার বাইরে উত্তর দিকে আবাস-তাম্বুর মধ্যেই, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুর মধ্যেই তিনি টেবিলটা রাখলেন এবং মাবুদের হুকুম মত তাঁর সামনে টেবিলের উপর পবিত্র-রুটি সাজিয়ে রাখলেন। 24-25 দক্ষিণে, টেবিলটার উল্টাদিকে মাবুদের হুকুম মত বাতিদানটা রাখলেন এবং তার উপর মাবুদের সামনে বাতিগুলো জ্বালিয়ে দিলেন। 26-27 পর্দার সামনে ঐ মিলন-তাম্বুর মধ্যেই তিনি সোনার ধূপগাহ্‌টা রাখলেন এবং মাবুদের হুকুম মত তার উপর খোশবু ধূপ জ্বালালেন। 28তারপর তিনি আবাস-তাম্বুর দরজায় পর্দা টাংগালেন।

29আবাস-তাম্বুর, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে তিনি পোড়ানো-কোরবানগাহ্‌টা রাখলেন এবং মাবুদের হুকুম মত তিনি তার উপর পোড়ানো-কোরবানীর এবং শস্য-কোরবানী দিলেন। 30সেই কোরবানগাহ্‌এবং মিলন-তাম্বুর মাঝামাঝি জায়গায় তিনি গামলাটা বসালেন এবং হাত-পা ধোয়ার জন্য তাতে পানি রাখলেন। 31সেই গামলার পানিতেই মূসা, হারুন ও তাঁর ছেলেরা হাত-পা ধুতেন। 32মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন সেইমতই মিলন-তাম্বুতে ঢুকবার আগে কিংবা কোরবানগাহের কাছে যাবার আগে তাঁরা তাঁদের হাত-পা ধুয়ে নিতেন। 33কোরবানগাহ্‌ও আবাস-তাম্বুর চারপাশে তিনি পর্দা খাটিয়ে উঠানের ব্যবস্থা করলেন এবং তার দরজায় পর্দা দিলেন। এইভাবে মূসা তাঁর কাজ শেষ করলেন।

আবাস-তাম্বুতে আল্লাহ্‌র মহিমা

34তারপর মেঘ এসে মিলন-তাম্বুটা ঢেকে ফেলল এবং মাবুদের মহিমায় আবাস-তাম্বুটা পূর্ণ হয়ে গেল। 35আবাস-তাম্বুটা, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুটা মেঘে ঢাকা এবং মাবুদের মহিমায় পূর্ণ ছিল বলে মূসা সেখানে ঢুকতে পারলেন না।

36বনি-ইসরাইলদের সারা যাত্রাপথে যখনই আবাস-তাম্বুর উপর থেকে মেঘ উঠে যেত কেবল তখনই তারা বের হয়ে পড়ত; 37কিন্তু মেঘ উঠে না গেলে তারা বের না হয়ে মেঘ উঠবার জন্য অপেক্ষা করে থাকত। 38বনি-ইসরাইলদের সমস্ত যাত্রাপথে দিনের বেলায় তাদের চোখের সামনে আবাস-তাম্বুর উপরে থাকত মাবুদের এই মেঘ আর রাতের বেলায় সেই মেঘের মধ্যে থাকত আগুন।