ইফিষীয় 3

হযরত পৌলের উপর অ-ইহুদীদের ভার

1এইজন্য আমি পৌল আল্লাহ্‌র কাছে মুনাজাত করছি। তোমরা যারা অ-ইহুদী তোমাদের জন্যই আমি মসীহ্‌ঈসার বন্দী হয়েছি। 2তোমরা নিশ্চয়ই শুনেছ যে, আল্লাহ্‌তাঁর রহমতের ব্যবস্থা তোমাদের জানাবার ভার আমার উপর দিয়েছেন। 3তাঁর গোপন উদ্দেশ্য তিনি ওহী দ্বারা আমাকে জানিয়েছেন, আর এই বিষয় আমি তোমাদের কাছে অল্প কথায় লিখলাম। 4তোমরা তা পড়লে বুঝতে পারবে যে, মসীহের বিষয়ে সেই গোপন উদ্দেশ্য আমার বুঝবার ক্ষমতা রয়েছে। 5সেই গোপন উদ্দেশ্য পাক-রূহের দ্বারা এখন যেভাবে তাঁর পবিত্র সাহাবী ও নবীদের কাছে প্রকাশিত হয়েছে, আগের সব যুগের লোকদের কাছে সেইভাবে প্রকাশিত হয় নি। 6সেই গোপন উদ্দেশ্য হল এই-সুসংবাদের মধ্য দিয়ে অ-ইহুদীরা মসীহ্‌ঈসার সংগে যুক্ত হয়ে ইহুদীদের সংগে একই সুযোগের অধিকারী হবে, একই শরীরের অংশ হবে, আর একই ওয়াদা করা দোয়ার ভাগী হবে।

7আল্লাহ্‌তাঁর মহাশক্তি অনুসারে আমাকে যে রহমত করেছেন সেই রহমতের দান হিসাবে তিনি আমাকে সুসংবাদ তবলিগ করবার কাজ দিয়েছেন। 8আল্লাহ্‌র সমস্ত বান্দাদের মধ্যে আমার চেয়ে নীচু আর কেউ নেই, তবুও মসীহের যে সম্পদের কথা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারা যায় না, অ-ইহুদীদের কাছে সেই সম্পদের সুসংবাদ জানাবার কাজ আল্লাহ্‌রহমত করে আমাকেই দিয়েছেন। 9এছাড়া তাঁর গোপন উদ্দেশ্য যে কিভাবে কাজে লাগানো হবে তা প্রকাশ করবার ভারও তিনি আমার উপর দিয়েছেন। সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌এত কাল ধরে তাঁর সেই উদ্দেশ্য গোপন রেখেছিলেন। 10তিনি তা করেছিলেন যেন মসীহের জামাতের মধ্য দিয়ে বেহেশতের সমস্ত শাসনকর্তা ও ক্ষমতার অধিকারীদের কাছে বিভিন্নভাবে প্রকাশিত আল্লাহ্‌র জ্ঞান এখন প্রকাশ পায়। 11এটাই ছিল তাঁর চিরকালের ইচ্ছা, আর সেই ইচ্ছা তিনি আমাদের হযরত ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে পূরণ করেছেন। 12মসীহের সংগে যুক্ত হয়ে তাঁর উপর ঈমানের মধ্য দিয়ে আমরা আল্লাহ্‌র সামনে সাহসের সংগে উপস্থিত হবার অধিকার পেয়েছি। 13তাই আমি অনুরোধ করছি, তোমাদের জন্য আমি দুঃখ-কষ্ট ভোগ করছি বলে তোমরা সাহস হারায়ো না, কারণ সেই সব তোমাদের গৌরবের জন্যই হচ্ছে।

ইফিষীয়দের জন্য হযরত পৌলের মুনাজাত

14-15 বেহেশত আর দুনিয়ার সমস্ত প্রাণীদের বিভিন্ন পরিবারের সবাইকে যাঁর সন্তান বলে ডাকা হয় সেই পিতার সামনে আমি মুনাজাতের জন্য হাঁটু পাতছি। 16আমি মুনাজাত করি যেন আল্লাহ্‌র অশেষ মহিমা অনুসারে তিনি তোমাদের এমন শক্তি দেন যাতে পাক-রূহের মধ্য দিয়ে তোমাদের দিল শক্তিশালী হয়, 17আর ঈমানের মধ্য দিয়ে মসীহ্‌তোমাদের দিল পরিপূর্ণভাবে অধিকার করেন। আমি আরও মুনাজাত করি যেন মসীহের মহব্বতের মধ্যে তোমরা গভীরভাবে ডুবে গিয়ে স্থির হও, 18আর আল্লাহ্‌র সব বান্দাদের সংগে তোমরাও বুঝতে পার যে, মসীহের সেই মহব্বতের কোন কূল-কিনারা নেই, কোন দিক-সীমানা নেই। 19মসীহের সেই মহব্বত বুদ্ধি দিয়ে জানা যায় না; তবুও আমি মুনাজাত করি যেন তোমরা সেই মহব্বত বুঝতে পার, যাতে আল্লাহ্‌র সমস্ত পূর্ণতায় তোমরা পরিপূর্ণ হও।

20আমাদের দিলে আল্লাহ্‌র যে শক্তি কাজ করে সেই শক্তি অনুসারে তিনি আমাদের চাওয়া ও চিন্তার চেয়েও অনেক বেশী করতে পারেন। 21মসীহ্‌ঈসার মধ্য দিয়ে এবং জামাতের মধ্য দিয়ে পুরুষের পর পুরুষ ধরে চিরদিন আল্লাহ্‌র গৌরব হোক। আমিন।